ডেস্ক রিপোর্টঃ
বরখাস্ত হয়ে হত্যার মামলায় কারাগারে। পর পরই আতঙ্কে টেকনাফ থানার আলোচিত ওসি প্রদীপের বিশেষ টিমের সদস্যরা। কর্মস্থল পরিবর্তনের জন্য অনেকেই করছেন জোর তদবির।
স্থানীয়রা বলছেন প্রদীপের নানান অপকর্মের সহযোগী ছিলেন তার বিশেষ টিমের এসব সদস্য। অভিযোগ টেকনাফজুড়ে তাদের পরিচিতি ছিল ‘ওসির টিম’ বলেই। এসব সদস্যরাই থানায় ধরে নির্যাতন ও ইয়াবা অস্ত্র দিয়ে ভিডিও ধারণ করতেন।
টেকনাফ থানাজুড়ে ছিল প্রদীপের বিশেষ টিমের দাপট। যার পরিচিতি ওসির টিম নামে। দুটি টিমের সদস্যদের দিয়ে প্রদীপ চালাতেন নানান অভিযান। যে টিমের অন্যতম সদস্য ছিলেন তার ভাগ্নে থানার এসআই মিঠুন ভৌমিক- এএসআই সঞ্জীব দত্ত- কনস্টেবল সাগর, নামজুল ও রাজু মজুমদার।
স্থানীয়রা বলছেন টিমের কাজ ছিল লোকজন ধরে – থানার তিন তলায় টর্চার সেলে নিয়ে যাওয়া। পরে ইয়াবা, অস্ত্র দিয়ে ভিডিও ধারণ এবং তাদের মুখ দিয়ে বিভিন্ন লোকের নাম বলানো। ওই সেলের জন্য ব্যবহার করা হতো আলাদা দরজা যাতে সিসিটিভিতে কোনো প্রমাণও না থাকে।
স্থানীয়রা বলছেন বিশেষ টিমের অন্য পুলিশ সদস্য এসআই মশিউর, এসআই সঞ্জীব, এসআই রাম নিলয়, এসআই কামরুজ্জামান, এএসআই আমির, এসআই কাজী মোহাম্মদ সাইফ, কনস্টেবল রুবেল দাশ, এসআই মিঠুন ভৌমিক, পুলিশ সদস্য শরিফুল।
কনস্টেবল সাগর দেব (কুমিল্লা), এএসআই সঞ্জীব দত্ত (পেকুয়া), বরখাস্ত ওসি প্রদীপের ভাগিনা এসআই মিঠুন চক্রবর্তীকে কক্সবাজার ডিএসবি পুলিশে বদলি করা হয়েছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন,’একটা নিয়মের মধ্য দিয়ে তদন্ত হচ্ছে। এখন র্যাবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সরকার একটা তদন্ত কমিটি করেছে সেখানে সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনীর সদস্য আছে। যার নাম আসুক।আমরা তার শান্তি নিশ্চিত করবো।’
চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামালায় তদন্ত চলাকালে টেকানফ থানা থেকে তিন পুলিশ সদস্য বদলির পর দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।চট্টগ্রাম মহানগর টিআইবি-সনাক সভাপতি অ্যাডভোকেট আকতার কবীর চৌধুরী জানান,’প্রদীপ যখন ক্রসফায়ার করেছে। লাখ লাখ টাকা নিয়েছে তখন কিন্তু সে একা ছিল না। তার সঙ্গে অন্য অনেক কর্মকর্তাও ছিল। তারাও এই কাজের ভাগিদার। ওই কর্মকর্তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের কেউই কথা বলেননি। সূত্রঃ ডিবিসি