- ক্যাম্পাস ডেস্ক:
পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষকদের উচ্চস্বরে কথা বলা, নাস্তা করা, ফোনে কথা বলার কারণে পরীক্ষা কেন্দ্রের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হয় বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক শিক্ষার্থী। ‘পরীক্ষা কেন্দ্রের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার্থে’ এ শিক্ষার্থী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদনও দিয়েছেন।
ওই শিক্ষার্থীর নাম মতিউর রহমান সরকার দুখু। তিনি দর্শন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার তিনি এই লিখিত আবেদনপত্র দেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে।
লিখিত আবেদনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘১৩ আগস্ট আমাদের ষষ্ঠ সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার কোর্স’ নম্বর-৩০৫ কলাবনের পঞ্চম তলায় দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত পরীক্ষায় আমি কেন্দ্রের সামনের দিকে দ্বিতীয় বেঞ্চে বসি, পরীক্ষা শুরু হওয়ার সাথে সাথে সামনে বসা শিক্ষকরা নিজেদের মধ্যে উচ্চস্বরে আলাপ শুরু করেন। শিক্ষকদের আলাপের কারণে পরীক্ষার খাতায় মনোযোগ দিতে অসুবিধা হওয়ায় আমি একজন শিক্ষককে আমার সমস্যার কথা জানাই।
তিনি তখন আমাকে পরীক্ষাকেন্দ্রের শেষের দিকের বেঞ্চে চলে যেতে বলেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘কেন্দ্রের শেষের দিকের বেঞ্চে বসার কিছুক্ষণ পর আরেকজন শিক্ষক আমার পেছনে এসে বসে একটি ইংরেজি আর্টিকেল উচ্চস্বরে পড়া শুরু করেন। প্রায় ১ ঘণ্টা যাবৎ তিনি আর্টিকেল পড়েন। তাছাড়া কেন্দ্রে মোবাইল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও শিক্ষকরা পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের অভ্যন্তরে উচ্চস্বরে মোবাইলে কথা বলেন।’
আবেদনপত্রে ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শিক্ষকরা কেন্দ্রের অভ্যন্তরে নাস্তা করেন ও উচ্চস্বরে হাসাহাসি করার কারণ উল্লেখ করে পরীক্ষা কেন্দ্রের সুষ্ঠু স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ীকে একাধিক ফোনে কল এবং মেসেজ পাঠানো হলেও তিনি তার কোনো জবাব দেননি।