নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার মদনের পল্লীতে রফিকুল ইসলাম রাসেল (২৫) নামের এক সেচ মালিক কে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় মদন হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার কাজী বুশরা আমীনা রাসেল কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের পিছনের মগড়া নদীর পাড়ে রাসেলের সেচ ঘরে। রফিকুল ইসলাম রাসেল শ্রীধরপুর গ্রামের হাজী শামছুল হকের ছেলে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাহারপুর ও শ্রীধরপুর এই দুই গ্রামের হাওরের প্রায় ২৫০ একর ফসলি জমিতে রাসেলের বাবা ২০ বছর ধরে সেচ দিয়ে থাকে। আর এই সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করে রাসেল। পাহাড়পুর গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে পাহারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আলম মিয়া তার ভাইদের নিয়ে সেচ স্কীম তাদের দখলে নিতে গত ১ জানুয়ারী ২০১৮ সালে রাসেল কে হত্যা করার জন্য সেচ ঘরেই ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে এ নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা হয়।
এ বছর উক্ত স্কীমটি বিএডিসির সেচ এর আওতায় রাসেল পরিচালনা করার জন্য অনুমোদন পায়। বোরো জমিতে সেচ দেয়ার সময় হওয়াতে আজ সোমবার সকালে রাসেল সেচ সংযোগ দেয়ার জন্য পাহারপুর গ্রামের পিছনে গেলে সাদেক,আলম, রুহুল,শুভ সহ ৭/৮ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে নিয়ে এলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতে প্রেরণ করা হয়।
ওসি মাসুদুজ্জামান জানান, সোমবার সকালে পাহাড়পুর গ্রামের রাসেল কে মারপিট করায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়েই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিক্ষক আলম মিয়ার মুটোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।