ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ
কামিল পরীক্ষার্থী নববধূ স্ত্রীকে চুল কেটে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হেলিপ্যাড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে নির্যাতনের এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী স্বামীর বাসা থেকে পালিয়ে দৌলতখান উপজেলায় নিজ বাড়িতে চলে আসেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলামের শাস্তিদাবি করেছেন পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা।
ইউপি সদস্য আব্দুল অদুদ ও মেয়ের চাচা মোঃ খয়ের জানান, গেল ১৪ এপ্রিল বোরহানউদ্দিন দারুস সুন্নাত মডেল মাদ্রাসার শিক্ষক সাইফুলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্তু সাইফুলের সাথে অন্য নারীর পরকিয়া থাকায় বিয়ের পর থেকেই নির্যাতন করে আসছে। দুই দিন আগে মাথার চুল কেটে তা আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এমনকি নির্যাতনের কথা গোপন রাখার জন্য চাপ দেয়।
বুক্তভোগী তরুণী জানান, তাকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক নির্যাতন করা হতো। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীদের সহায়তায় তিনি পালিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন।
এদিকে, অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের পিতা তৈয়বুর রহমান জানান, তার ছেলে স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতো। তবে, ছেলের এমন কর্মকাণ্ডের বিচার হওয়া প্রয়োজন হওয়া উচিত বলেও জানান সাইফুল ইসলামের বাবা তৈয়বুর রহমান।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল আমিন জানান, নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ থানায় গিয়েছেন। তবে এখনো কোন মামলা হয়নি।