ডেস্ক রিপোর্টঃ
২০২০ সাল মৃত্যুপুরীতে রুপ নিচ্ছে বলিউড। করোনার থাবায় কত প্রান উজার হয়েছে। করোনার নিগ্রহে কত সেলিব্রেটি আত্মহত্যা করেছে! সবচেয়ে বেশি ঝড় যাচ্ছে বিম্ব সিনেমার বড় বিজ্ঞাপন বলিউডের উপর দিয়ে। ইরফান খান, ঋষি কাপুর, ওয়াজিদ খান, সুশান্তর পর আজ চলে গেলেন ‘দৃশ্যম’খ্যাত পরিচালক নিশিকান্ত কামাত।
সোমবার সকাল থেকেই ফিল্ম পরিচালক নিশিকান্ত কামতের মৃত্যু নিয়ে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল। বিভিন্ন মিডিয়াতে খবরও প্রকাশ করে দেওয়া হয় যে তিনি আর নেই। যদিও পরে রীতেশ দেশমুখ, জন আব্রাহামেরা ট্যুইট করে জানান এই খবর মিথ্যে। তিনি ভেন্টিলেটরে রয়েছেন এবং লড়াই করছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাই সত্যি হল। প্রয়াত হলেন জনপ্রিয় পরিচালক নিশিকান্ত কামত। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী ‘সিরোসিস অফ লিভার’ সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি ৷ সোমবার বিকেল ৪টে ২৪ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নিশিকান্ত৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫০ বছর ৷
তাঁর অকাল প্রয়াণে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করলেন বলিউডের তাবড় অভিনেতারা ৷ শোক প্রকাশ করলেন অজয় দেবগণ, রণদীপ হুডা, জিমি শেরগিল, জেনেলিয়া, মীরা চোপড়ার মতো ব্যক্তিত্বরা৷ অভিনেতা রীতেশ দেশমুখ টুইটে করে নিশিকান্তের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমি তোমাকে মিস করব বন্ধু, শান্তিতে থেকো।’ নিশিকান্তের ‘দৃশ্যম’ ছবিতে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন অজয় দেবগণ। তিনিও পরিচালকের মৃত্যুতে জানিয়েছেন।
টুইটে অজয় লিখেছেন, ‘শুধু একটা ফিল্ম নয়, টাবু ও আমার সঙ্গে দৃশ্যমের পুরো ইউনিটটাই একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। খুবই প্রতিভাবান, সদা হাস্যময়। খুবই তাড়াতাড়ি চলে গেল। শান্তিতে থেকো নিশিকান্ত।’
মরাঠি ছবি দোমবিভালি ফাস্ট দিয়ে ২০০৫-এ পরিচালনায় নাম লেখান নিশিকান্ত কামতের। মরাঠি ফিন্ম ইন্ডাস্ট্রিতে দোমবিভালি ফাস্ট ছিল সেই বছরের সবচেয়ে হিট ছবি। ২০০৬-এ মরাঠিতে সেরা ফিচার ফিল্ম বিভাগে শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পায় দোমবিভালি ফাস্ট। নিশিকান্ত কামত ন্যাশনাল স্পটলাইটে আসেন দৃশ্যম ছবিটি পরিচালনার পরে। মালয়ালম ছবিকে হিন্দিতে রিমেক করেন তিনি। ২০১৫-য় মুক্তি পায় অজয় দেবগণ ও তব্বু অভিনীত দৃশ্যম। এছাড়াও নিশিকান্ত কামত ফোর্স, রকি হ্যান্ডসাম এবং মাদারির মতো ছবি পরিচালনা করেছেন। রকি হ্যান্ডসাম, জুলি ২, ভবেশ যোশি এবং সাতচিয়া আট ঘারাট (মরাঠি) ছবিতে অভিনয় করতেও তাঁকে দেখা যায়।