কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কুড়াখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে করা দূর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, বেতনের টাকা আত্মসাৎসহ সকল অনিয়মের অভিযোগে তার পদত্যাগ দাবী করে শিক্ষার্থীরা।
ছাত্র-ছাত্রীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে গত ১০ই সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে উপজেলা প্রশাসন। তদন্ত কমিটিতে উপজেলা ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর জাহিদুল ইসলামকে ইসলামকে প্রধান এবং একাডেমিক সুপারভাইজার কুহিনুর বেগম ও ডিআর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহানকে সদস্য করা হয়। গঠিত কমিটি ২৩শে সেপ্টেম্বর সরেজমিনে তদন্ত শুরু করে। তদন্ত শুরু করলেও শিক্ষার্থীরা তদন্ত কমিটির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে তদন্ত কর্মকর্তার পরিবর্তন দাবি করে আসছে শিক্ষার্থীরা। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে কয়েকশতাধিক শিক্ষার্থী উপজেলা পরিষদে এসে তদন্ত কর্মকর্তার অপসারনের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী হাফসা আক্তার বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা আমাদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভাবে আপত্তি জনক কথা বলেছেন। পাশাপাশি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারব না বলে হুমকি প্রদান করে। আমরা সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা দিতে চাই। এবং প্রধান শিক্ষকের দ্রুত অপসারন চাই।
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলেন, আমরা এই বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। তিনি তদন্তকারি কর্মকর্তা পরিবর্তন করে নতুন তদন্ত কমিটি নিয়োগ করে দিবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগটি সত্য নয়। আমি এই ধরনের কোন কথা বলি নাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের সভাপতি সিফাত উদ্দিন বলেন, যেহেতু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অভিযোগ রয়েছে সেক্ষেত্রে বর্তমান তদন্ত কমিটি পরিবর্তন করে দ্রুত নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে।