ডেস্ক রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডাঃ সাবরিনা চৌধুরীসহ ছয়জনকে তিনদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দুদককে অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে ডাঃ সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী সিইও আরিফ চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে দীর্ঘ শুনানি শেষে ৪টার দিকে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে এ মামলায় ২৭ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেন আদালত। ওই দিন থেকে এই মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
অভিযোগ গঠনের পর কাঠগড়ায় থাকা ডাক্তার সাবরিনা চৌধুরী কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় নিজেদেরকে নির্দোষ দাবি করেন আসামিরা। তড়িঘড়ি করে চার্জশিট দেয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রমাণ হয়নি বলে দাবি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
তার আগে, সকাল ৯টার দিকে কারাগার থেকে আট আসামিকে নেয়া হয় আদালতে। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেনঃ আবু সাঈদ চৌধুরী, হিমু, তানজিলা, শফিকুল ইসলাম রোমিও, বিপুল ও জেবুন্নেসা। তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ জুন জেকেজির সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে আটক করে পুলিশ। হিরু তার স্বীকারোক্তিতে জানান, তিনি ভুয়া করোনা সার্টিফিকেটের ডিজাইন তৈরি করতেন, যার সঙ্গে জেকেজি গ্রুপের লোকজন জড়িত। ওই তথ্যের ভিত্তিতে গেল ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলার তদন্তে জেকেজির চেয়ারম্যান ডাঃ সাবরিনার নাম এলে গত ১২ জুলাই তাকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে তা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে এ মামলার সব আসামি কারাগারে রয়েছেন।