চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ কর্তৃক বর্বরোচিত জলকামান নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে আহত করার প্রতিবাদে গত শুক্রবার বিকাল ৪ ঘটিকায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমিটির আয়োজনে প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে হামলার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবী করেন বিভাগী কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি মোঃ কফিল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্বাস উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন রুবেল, মহানগর সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, মহানগর কমিটির সদস্য সচিব জুয়েল আহমদ তাজবী, দক্ষিণ জেলা কমিটির আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান, নুরুদ্দিন মোহাম্মদ নোমান, শামসুন নাহার, ফুল, উজ্জ্বল শর্মা, আনিসুজ্জামান, রেজাউল, জুয়েল, মোছলেম উদ্দিন, সাগর, সুজন চৌধুরী ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন জেলা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধার সন্তানগন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের আয়োজিত গত ২৩ শে ফেব্রুয়ারি শাহাবাগে অবস্থান কর্মসুচিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, রাজশাহী, শরীয়তপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, রংপুর, সিলেট সহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার প্রায় ৯ থেকে ১০ সহস্রাধিক নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের শান্তি পূর্ণ অবস্থা কর্মসুচিত পালন কালে আন্দোলনরত নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, প্রজন্ম ও গনমাধ্যম কর্মীদের উপর সন্ধ্যার একটু আগে অতর্কিত লাঠিচার্জ ও জলকামান নিক্ষেপ শুরু করে পুলিশ।
এসময় অবস্থান কর্মসুচিতে অংশ গ্রহণকারী আন্দোলনরত নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, প্রজন্ম ও উপস্থিত গনমাধ্যম কর্মীরা বিভিন্ন দিকে আতংকে ছত্রভঙ্গ হয়ে পরে।
পুলিশের এই অতর্কিত হামলায় অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সোলেমান মিয়া, প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব শফিকুল ইসলাম বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান সজীব সরকার, মিজানুর রহমান, ইয়াসিন আকন্দ, প্রকৌশলী সানাউল্লাহ, মোঃ হারুনুর রশীদ তরফদার, তসলিমা রেজা, যুগ্ম মহাসচিব ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হুদা, তিতুমীরসহ চট্টগ্রাম বিভাগে সভাপতি কফিলউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন শিমুল, চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক মন্জুরুল ইসলাম, সদস্য সচিব জুয়েল তজবি, কুমিল্লা জেলা আহবায়ক সাংবাদিক ফয়সাল মবিন পলাশ সহ ৭০/৮০ জন আন্দোলনরত নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, প্রজন্ম ও উপস্থিত বেশ কয়েকজন গনমাধ্যম কর্মীরা গুরুতরভাবে আহত হয়!
আহতদের রাজধানীর বিভিন্ন হসপিটালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানা যায়।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ, সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সুরক্ষা আইন পাস করা, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের পরিত্যক্ত সম্পত্তি দখলমুক্ত করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা, হাসপাতাল, সরকারি অফিস, বিমানবন্দরসহ সব জায়গায় মুক্তিযোদ্ধাদের ভিআইপি মর্যাদা দান ইত্যাদি।