কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লায় অতর্কিত হামলায় আক্তার হোসেন (৫৫) নামক এক ব্যবসায়ীকে গত শুক্রবার (১০ জুলাই) পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনসহ তার ৩ ভাইয়ের বিরুদ্ধে এই হত্যার অভিযোগে উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর অভিযুক্ত কাউন্সিলর এর ৩ ভাইকে পুলিশ আটক করেছে। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন গা ঢাকা দিয়ে আছে।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা আলাল জানান, তাদের এলাকায় গত শুক্রবার বিকেলে এক ঘুড়ি উড়ানোর উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন কে। ঘুড়ি উৎসবের আয়োজনে আমন্ত্রণ না করায় ক্ষিপ্ত হন কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন। এ নিয়ে সকাল থেকেই তাদের সাথে তর্ক-বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ঘুড়ি উৎসবে আমন্ত্রণ না দেয়ায় এবং পুর্ব বিরোধের জের ধরে এ হামলা চালায় কাউন্সিলর ও তার ভাইরা। হামলায় আলাল নিজেও গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন।
স্থানিয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১০ জুলাই) জুমার নামাজের পর দুপুরে সদর দক্ষিন উপজেলার কোটবাড়ি রোডের দক্ষিন চাঙ্গিনী এলাকায় কাউন্সিলর আলমগীরের বাড়ির পাশে মসজিদের সামনে এ অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটায় কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন ও তার তিন ভাই।
কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন ও নিহত আক্তার হোসেন তারা সম্পর্কে চাচাতো-জ্যাঠাতো ভাই, তারা একই বাড়ির। ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলছিলো।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনের ভাই বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে যুবলীগ নেতা আলালের কথা কাটা কাটি হয়, এ ঘটনার জের ধরে কাউন্সিলর আলমগীর ও তার তিন ভাই শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর আক্তার হোসেন ও তার সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনের মৃত্যুর সংবাদে উভয় পক্ষ এলাকাতে উত্তেজনা সৃষ্টি করে, এ সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
তিনি আরো জানান, কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন ও তার ৩ ভাইয়ের এ অতর্কিত হামলায় আক্তার হোসেন নামক ব্যবসায়ির মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে আধিপত্য বিস্তার ও দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষইয়ে বিরোধ চলছিলো ব্যাবসায়ী আক্তার হোসেন ও কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনের মধ্যে। এ ঘটনায় কাউন্সিলর আলমগীরের ৩ ভাই আমির হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন কে আটক করা হয়েছে। তবে এখনো কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন পলাতক, তাকে আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।