ফয়সাল মবিন পলাশঃ
নগরীর স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম চলছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে। শিক্ষার্থী বা অভিভাবক প্রতিষ্ঠানে না এসে অনলাইনে ভর্তির কাজ সম্পন্ন করতে পারছেন। এতে করে একদিকে শিক্ষার্থী চলমান মহামারী করোনা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন অপরদিকে সরকার ঘোষিত ডিজিটালজেশনের সফল বাস্তবায়ন ঘটেছে। এবার ভর্তি ফিও নেয়া হচ্ছে সহনীয় মাত্রায়। নগরীর ৫টি সরকারি কলেজের তুলনায় এ কলেজে ভর্তি ফি সর্বনিন্ম বলে জানা গেছে। সরকারিকরণের সুফল পাচ্ছেন অভিভাবকরা। এতে খুশি শিক্ষার্থী অভিভাবকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হচ্ছে। কোন কলেজে আসতে হচ্ছে না। নোটিশ দিয়ে বরং কলেজ কর্তৃপক্ষ বলে দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত শিক্ষাথর্ী ব্যতিত কাউকে কলেজে আসতে হবে না। কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজে অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়াটি এ রকম- নির্বাচিত শিক্ষার্থী কলেজ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ভর্তির আবেদন ফরমের লিংক ক্লিক করে ফরমটি পূরণ করে সাবমিট করেন।তার পর প্রাপ্ত আবেদন পত্রটি কলেজ ভর্তি কমিটি যাচাই বাচাই করে তথ্য গুলো কলেজের সফটওয়ারে ইনপুট দিয়ে থাকেন। এর পর শিক্ষাথর্ীর মোবাইলে শিক্ষাথর্ীর ১৪ ডিজিটের একটি স্টুডেন্ট আইডি, ফি পরিশোধের পরিমান এবং বিকাশের মাধ্যমে ফি পরিশোধের প্রক্রিয়া অবহিত করে মেসেজ প্ররেণ করা হয়। একই সাথে কলেজ ওয়েবসাইটেও অনলাইনে আবেদনকারীর নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, স্টুডেন্ট আইডি ও খাতওয়ারী ফি এর পরিমাণ উল্লেখ করে তালিকা প্রদর্শন করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা হলে প্রাপ্তি স্বীকার করে কলেজ কর্তৃপক্ষ মেসেজ প্রেরণ করেন। শুধু তাই নয় শিক্ষার্থী অনলাইনে ফি পরিশোধের রশিদও সংগ্রহ করতে পারছেন। পরবতর্ীতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে শিক্ষাথর্ীকে অভিনন্দন জানিয়েও মেসেজও প্রেরণ করা হবে বলে কলেজ সূত্র জানিয়েছেন।তাছাড়া প্রতিদিন কলেজ ওয়েবসাইটে ভতিৃকৃত শিক্ষার্থীদের আপডেট তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে।
বুধবার সরজমিনে কলেজ ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, ক্যাম্পাসে সুনসান নিরবতা। শুধু কলেজ অধ্যক্ষ ও ভর্তি কমিটি অনলাইনে কাজ করছেন। এবার ভর্তি ফিও নেয়া হচ্ছে সহনীয় মাত্রায়। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ভর্তি ফি ২২৪৬/-টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগে ২৩৪৬/-টাকা।
ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ ফারুক জানান, “ভর্তির অনলাইন এ প্রক্রিয়াটির পুরো কৃতিত্ব আমাদের অধ্যক্ষ মহোদয়ের। স্যার অনেক আগেই পুরো প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন।এর সুফল পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা”। করোনাকালিন পরিস্থিতিতে শিক্ষাথর্ী ও অভিভাবকবৃন্দও কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ কে এম এমদাদুল হকের অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন।

একাদশে ভর্তি হওয়া নবাগত শিক্ষার্থী ফারহানা ইসলাম তাসনুভা জানায়,আমরা জেনেছি এ প্রতিষ্ঠানের জুম ও ফেসবুক লাইফে সকল শ্রেনির অনলাইন ক্লাস রুটিন অনুসারে নিয়মিত হচেছ। শুনেছি আমাদের জন্যও এই সংকটময় সময়ে ক্লাস রুটিনসহ একাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরী হয়ে গেছে। একটি সুশৃংখল ডিজিটাল প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পেরে আমি আনন্দিত।
কলেজ অধ্যক্ষ ড. এ কে এম এমদাদুল হক জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য ঝুকি বিবেচনা করে আমরা বর্তমান সরকারের দেয়া ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগ করেছি মাত্র। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ উপকৃত হচ্ছেন। তাছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগের কারণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও নিশ্চিত হয়েছে।