সাজ্জাদ হোসেন শিমুলঃ
মুরাদনগরে করোনায় মারা যাওয়া সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রীর লাশ ফেলে পালিয়ে গেলেন স্বজনরা। এতে লাশ দাফন বহন এবং জানাজা নিয়ে দেখা দেয় সংকট। খবর পেয়ে সংসদ সদস্য ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এফসিএ ঘটনাস্থলে যুবলীগ এর নেতাকর্মীদের প্রেরন করে লাশ দাফন করেন। ঘটনাটি ঘটে কামাল্লা ইউনিয়নের কামারচর গ্রামে।
জানা যায়, কামাল্লা ইউনিয়নের কামারচর গ্রামের এক প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী করোনা পজেটিভ নিয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যায়। পরে তার এক স্বজন ঢাকা থেকে লাশ বহনকারী একটি এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে বিকেলে তার বাবার বাড়ী কামারচরে নিয়ে আসেন। কিন্তু সেই লাশ দাফন তো দুরের কথা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের খবর পেয়ে পালিয়ে যায় ওই নারীর স্বজনরা। মসজিদের খাটিয়া দিতে এবং জানাযা পড়াতে অপারগতা প্রকাশ করে স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেব। ভয়ে পালিয়ে যায় মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন। শনিবার গভীর রাতে উপজেলার কামারচর এলাকায় এমন নির্মম ঘটনা ঘটে। এমন নির্মমতার খবর আসে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ্রর কাছে; তিনি সাথে সাথে ঘটনাস্থলে উপজেলা যুবলীগের টিমকে প্রেরন করেন। যুবলীগের টিম পরে সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে জানাজা শেষে লাশ দাফন কাফন করেন।
এসময় লাশ বহনের খাটিয়া না পেয়ে যুবলীগ নেতাকর্মীরা এ্যাম্বুলেন্সের স্ট্রেচারে করেই জানাযা সহ সকল কাজ সম্পাদন করেন। পরে নিভু নিভু মোবাইলের আলোর সাহায্যে গভীর রাতে লাশ নেয়া হয় কবরস্থানে। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির লাশ আসছে এমন খবরে এলাকার সব বাড়ীর বিদ্যুতের আলো বন্ধ করে দেয়া হয়। এমন কঠিন বাস্তবতার মধ্যদিয়ে করোনায় আক্রান্তের লাশ দাফন করে সর্বত্রই প্রশংসিত হয়েছেন এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এবং যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন এর টিম।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন বলেন সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ’র মানবিক নির্দেশনায় আমরা করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে মৃতদের দাফনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে অনেক সময় আমরা কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়। যত চ্যালেঞ্জই হোক আমরা এ কাজ চালিয়ে যাবো।