নিজস্ব প্রতিনিধি:
কুমিল্লার সংরাইশ সরকারি শিশু পরিবারের (বালিকা) অসহায় শিশুদের নিয়ে ঈদের আনন্দে সামিল হতে এগিয়ে এসেছে দুটি বেসরকারি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। গত সোম ও মঙ্গলবার নগরীর অভিজাত শপিংমলে নিয়ে এসে তাদের পছন্দের পোষাক কিনে দেয়া হয়। নতুন পোষাক পেয়ে তারাও আনন্দে উদ্বেলিত। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় সোয়া ৪ লক্ষ টাকা।
শিশু পরিবার সূত্রে জানা যায়, এখানে বিভিন্ন বয়সের একশত শিশু (বালিকা) অবস্থান করছে। আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে এসব শিশুদের মার্কেটে নিয়ে তাদের জন্য ঈদের নতুন পোশাক কেনাকাটার আনন্দ দানের ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে কুমিল্লার মেগা শপিং সেন্টার “এন্ড স্টুডিও” ও সামাজিক সংগঠন কাকলী ফাউন্ডেশন। গত সোম ও মঙ্গলবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের জন্য পছন্দের পোশাক কিনে দেয়া হয়। নিজেদের পছন্দমত পোশাক কিনতে পেরে আনন্দিত সরকারি শিশু পরিবারের নিবাসীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জেড এম মিজানুর রহমান খান, শিশু পরিবারের উপ-তত্ত¡াবধায়ক শরফুন্নাহার মনি, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মোঃ সাইফ উদ্দিন রনী, এন্ড স্টুডিও স্বত্ত¡াধিকারী আবদুল বারিক খান রানা, কাকলী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক কাউন্সিলর কোহিনুর আক্তার কাকলী, ডিজাইনার মশিউর মাসুদ, ব্যাংকার মনজুর বিন আলম রানা, কাকলী ফাউন্ডেশনের ভলেন্টিয়ার ইউনিটের সভাপতি কাজী মো. ফয়সাল ও সাধারন সম্পাদক আসিফ সানি, সদস্য নাসির উদ্দিনসহ আরও অনেকে।
মঙ্গলবার দুপুরে এ বিষয়ে নিবাসী তাহমিনা, জান্নাত, মনিরা, জোনাকী, শারমিন, সাবরিন, তাইফা, মরিয়ম, খুশি ও নুরজাহান জানান, এ সরকারি নিবাস-ই আমাদের ঘর-বাড়ি। ঈদ এলেই অপেক্ষায় থাকতাম একটি নতুন পোষাকের। কোন ঈদে পেতাম, কোন ঈদে পেতাম না। আমাদের বয়সী ছেলে মেয়েদেরকে নতুন পোষাকে রাস্তায় ঘুরতে দেখলে খারাপ লাগতো। আজকে সাইফ উদ্দিন রনী ভাই, এন্ডস্টুডিও ও কাকলী ফাউন্ডেশনের যারা আমাদের নতুন পোষাক উপহার দিলেন তাদের প্রতি আমাদের দোয়া করা ছাড়া কিছুই দেয়ার নেই।
শিশু পরিবারের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সাইফ উদ্দিন রনী জানান, এসব অসহায় শিশুদের পছন্দের পোষাকের জন্য ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। তাদের (নিবাসীদের) খাবার, শিক্ষা, পোষাক, বই কিনে দেয়াসহ যে কোন সহায়তায় সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে তারাও এক সময় সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ পাবে।
শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক শরফুন্নাহার মনি বলেন, অসহায় নিবাসীদের ঈদ আনন্দে যে দুটি সংস্থা অর্থ ব্যয় করে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আশা করবো এ শিশু পরিবারের নিবাসীদের যে কোন সহায়তায় অন্যরাও এগিয়ে আসবে।