নিজস্ব প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের তিন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১১,সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল।
সোমবার (১০ মে) ভোররাতে নগরীর উত্তর দূর্গাপুর এলাকা হতে তাদের আটক করা হয়। এসময় অপহৃত ২ জন ভিকটিমকেও উদ্ধার করা হয়। অপহরণ কাজে ব্যবহৃত দুটি সুইচ গিয়ার চাকু ও ১টি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত আসামীরা হলেন, কুমিল্লা নগরীর উত্তর দূর্গাপুর গ্রামের মৃত নওয়াব মিয়ার মেয়ে রীনা আক্তার (৪০),শংকপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন ভূইয়ার ছেলে মোঃ শাহা পরান (১৯) ও বুড়িচংয়ের এবদারপুর গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে মোঃ শরিফ ইসলাম (২২)।
রবিবার (৯ মে) কুমিল্লার কান্দিরপাড় হতে অপহৃত মোঃ জালাল হোসেন (২২) ও মোঃ মাসুদ রানা (১৬) কান্দিরপাড় মার্কেটে আসে মোবাইল ক্রয়ের জন্য। মোবাইল ক্রয়ের পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তারা মোবাইল ক্রয় না করে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করে। পতিমধ্যে কোতয়ালী থানার কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় অপহরণ চক্র গতিরোধ করে এবং অপহৃত ব্যক্তিদ্বয়কে মোবাইল চুরীর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাদেরকে জোরপূর্বক মটর সাইকেলে উঠিয়ে উত্তর দূর্গাপুর নিয়ে যায়। সেখানে আরো কয়েকজন মিলে ছেলে দুটিকে আটকে রেখে মারধর করেনগদ টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এসময় অপহরণকারীরা অপহৃত মোঃ জালাল হোসেন (২২) এর ফোন দিয়ে তার মাকে কল করে ৫০ হাজার টাকা এবং অপর অপহৃত মোঃ মাসুদ রানা (১৬) এর ভাই মোঃ কাইয়ুম হোসেনকে ফোন দিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।
এমতাবস্থায় ভিকটিমের পরিবার র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা অফিসে এসে তাদের ছেলেদেরকে উদ্ধারের জন্য র্যাবের সহায়তা কামনা করে। ভিকটিমদের পরিবারের সাথে কথা বলে অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভিকটিম উদ্ধারের জন্য তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে উত্তর দূর্গাপুর হতে ভিকটিমদ্বয়কে উদ্ধার করে এবং তিন অপহরণকারীকে আটক করে।
কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই বিষয়ে আসামীদের কুমিল্লা জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।র্যাব-১১ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অপহরণ সংক্রান্ত অপরাধ দমনের লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।