বিজ্ঞপ্তি:
"কুমিল্লা টাইমস টিভিতে" আপনার প্রতিষ্ঠান অথবা নির্বাচনী প্রচারনার জন্য এখনি যোগাযোগ করুন : ০১৬২২৩৮৮৫৪০ এই নম্বরে
শিরোনাম:
কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শ্রমিকসহ নিহত ৩ কুমিল্লা কি অ্যামাজন জঙ্গল থেকে এসেছে; প্রশ্ন জামায়াত আমিরের সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের জনসাধারণের কাছে খোলা চিঠি কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাল্টা কমিটি ঘোষণা তিতাসে নিখোঁজের সাড়ে তিন মাস পর বৃদ্ধ নারী’র হাড়গোড় উদ্ধার দেবিদ্বারের ধামতীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বসতজমি দখল চেষ্টার অভিযোগ মুরাদনগরে সাবেক চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে বিএনপির শোক প্রকাশ কুমিল্লার যুবক বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ এর মামলা প্রত্যাহারে দাবি হেফাজতে ইসলামের সাবেক এমপি বাহার ও তার মেয়ে সূচনার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সাংবাদিকদের মতো রাস্তায় ঘুরি না আমি, আমার কাজ আছে’ কুমিল্লা ময়নামতি ডাক্তারদের যৌন নির্যাতনের শিকার নারী শিক্ষার্থী; থানায় অভিযোগ কুমেকের প্রধান সহকারি দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ মুরাদনগরে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন বিএনপি নেতার বক্তব্য বিকৃত ও ছাত্রদল নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ সভা

কুমিল্লায় রোগীর পেটে ব্যান্ডেজ-তুলা রেখে সেলাই করে দিলেন চিকিৎসক

  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০২০
  • ৪৮০ বার পড়া হয়েছে
কুমিল্লা টাইমস

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার বরুড়ায় পেটের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর কোনোরকম পরীক্ষা ছাড়াই অপারেশন করা ও পেটের ভেতর তুলা-ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই করে দিয়েছেন চিকিৎসক। ১২ এপ্রিল ওই উপজেলার ফেয়ার হসপিটাল নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

দীর্ঘ তিন মাস অসহনীয় কষ্ট সহ্য করার পর ১৮ জুলাই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুনরায় অপারেশন করে রোগীকে সুস্থ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন ও ডা. মো. রাশেদ-উজ-জামান রাজিব নামে ফেয়ার হসপিটালের দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন রোগীর ভাই তানজিদ সাফি অন্তর। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ১২ এপ্রিল রাতে বরুড়ার রাজাপুর গ্রামের কাশেম শফি উল্লার মেয়ের পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। ওই রাতে স্বজনরা তাকে ফেয়ার হসপিটালে ভর্তি করান। ১৩ এপ্রিলে ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনের তত্ত্বাবধানে অপারেশন করেন ডা. মো. রাশেদ-উজ-জামান রাজিব। ওই সময় পেটে তুলা-ব্যান্ডেজ রেখে সেলাই করে দেন তিনি। পরে রোগীর পেটে ব্যথা অনুভব হয়। ব্যথা কমাতে ডা. ইকবাল হাই পাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক লিখে দেন। কিন্তু তিন মাসেও ব্যথা না কমায় বোনের আলট্রাসনোগ্রাফি করান ভাই তানজিদ সাফি অন্তর। রিপোর্টে পেটে অস্বাভাবিক কিছুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। ১৮ জুলাই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা. আজিজ উল্লাহ ও ডা. মাহমুদ রোগীকে পুনরায় অপারেশন করে পেট থেকে পুঁজ বের করেন।

মামলার বাদী তানজীদ রফি অন্তর বলেন, ডা. ইকবাল ও ডা. রাজিব আমার বোনের সঠিক রোগ নির্ণয় ছাড়াই অপরারেশন করেন। আমি তাদের বিচার চাই।

কুমিল্লার বরুড়ায় পেটের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর কোনোরকম পরীক্ষা ছাড়াই অপারেশন করা ও পেটের ভেতর তুলা-ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই করে দিয়েছেন চিকিৎসক। ১২ এপ্রিল ওই উপজেলার ফেয়ার হসপিটাল নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

দীর্ঘ তিন মাস অসহনীয় কষ্ট সহ্য করার পর ১৮ জুলাই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুনরায় অপারেশন করে রোগীকে সুস্থ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন ও ডা. মো. রাশেদ-উজ-জামান রাজিব নামে ফেয়ার হসপিটালের দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন রোগীর ভাই তানজিদ সাফি অন্তর। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ১২ এপ্রিল রাতে বরুড়ার রাজাপুর গ্রামের কাশেম শফি উল্লার মেয়ের পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। ওই রাতে স্বজনরা তাকে ফেয়ার হসপিটালে ভর্তি করান। ১৩ এপ্রিলে ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনের তত্ত্বাবধানে অপারেশন করেন ডা. মো. রাশেদ-উজ-জামান রাজিব। ওই সময় পেটে তুলা-ব্যান্ডেজ রেখে সেলাই করে দেন তিনি। পরে রোগীর পেটে ব্যথা অনুভব হয়। ব্যথা কমাতে ডা. ইকবাল হাই পাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক লিখে দেন। কিন্তু তিন মাসেও ব্যথা না কমায় বোনের আলট্রাসনোগ্রাফি করান ভাই তানজিদ সাফি অন্তর। রিপোর্টে পেটে অস্বাভাবিক কিছুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। ১৮ জুলাই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা. আজিজ উল্লাহ ও ডা. মাহমুদ রোগীকে পুনরায় অপারেশন করে পেট থেকে পুঁজ বের করেন।মামলার বাদী তানজীদ রফি অন্তর বলেন, ডা. ইকবাল ও ডা. রাজিব আমার বোনের সঠিক রোগ নির্ণয় ছাড়াই অপরারেশন করেন। আমি তাদের বিচার চাই।আসামি ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, অপারেশনের দিন ও রোগীকে ছাড়পত্র দেয়ার দিন আমি ছিলাম না। অপারেশন করেছেন ডা. রাজিব। ওই সময় রোগীর পিরিয়ড চলছিল। পিরিয়ডের কারণে তার পেটে ব্যথা হয়েছে ভেবে আমি ওষুধ দিয়েছি।

আরেক আসামি ডা. রাশেদ উজ-জামান রাজিব বলেন, যেহেতু ঘটনার চার মাস পার হয়েছে। আমি বিস্তারিত জেনেই কথা বলবো।


কুমিল্লা টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

বিজ্ঞাপন

সকল স্বত্বঃ কুমিল্লা টাইমস কতৃক সংরক্ষিত

Site Customized By NewsTech.Com