নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুমিল্লায় রাতে গরু চুরি, ভোরে জবাই! সকালে মাংস বিক্রির ঘটনায় কুমিল্লায় গরু চোর ও কসাই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কুমিল্লা সদর উপজেলার ঘিলাতলী গ্রামের মনিরুল ইসলাম চৌধুরী না এক ব্যক্তির খামারে ডাকাতি করে ১৬টি গরু নিয়ে যাওয়ার ঘটনার অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে গরু চুরি ও ডাকাত চক্রের সন্ধান উঠে আসে। এই চক্রের অন্যতম হোতা মোহাম্মদ আলী। তার বিরুদ্ধে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ, চৌদ্দগ্রাম ও দেবিদ্বাররে ডাকাতির প্রস্তুতি, অস্ত্র ও চুরিসহ ৬টি মামলা রয়েছে। বুধবার (২৮ অক্টোবর) মোহাম্মদ আলী (৪০) এবং গরু চুরির পর জবাই করে মাংস বিক্রির সাথে জড়িত কসাই দুসহোদর সহ তিনজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার চুলাশ গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে। কুমিল্লার রাজগঞ্জ বাজারের মাংস বিক্রেতা দুসহোদর মো. সাহিদ মিয়া (৩৫) ও মাসুম মিয়া (৩৮) কুমিল্লার নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকার রুপা মিয়া।
বৃহস্পতিবার কুমিল্লার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, চুরি ও ডাকাতি চক্রের মূলহোতা আলীর নেতৃত্বে কুমিল্লাসহ এর আশপাশের জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি ও ডাকাতি করে নিয়ে আসা গরুগুলো জবাই করে মাংস বিক্রি ছাড়াও ক্ষেত্রবিশেষ অন্যত্রও বিক্রি করে আসছে বলে গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকার করেন। বিভিন্ন সময় অভিনব কৌশল অবল্বন করে ডাকাতি ও চুরি করে গুরুগুলো কাভার্ডভ্যান কিংবা পিকআপের মাধ্যমে পরিবহর করেন। এই চুরির ঘটনায় গরু পরিবহনে ২/১টির বেশি ঘটনার পর আর কোন চালককে এই সম্পৃক্ত করতেন না। এই চুরি ও ডাকাতির সিন্ডিকেটের সাথে অন্তত ১৫-২০ জন ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন। পুরো চক্রকে গ্রেফতারে জেলা পুলিশ কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, এক দুই মাসের মধ্যে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে গরু চুরি বন্ধ করা হবে কুমিল্লায়।
আসামীদের গ্রেফতারে ছিলেন, কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল হক, তদন্ত পরিদর্শক বিল্লাল হোসেন ও এস আই এবিএম গোলাম কিবরিয়া।