নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুমিল্লায় বিয়ের আশ্বাস দিয়ে নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ
ঘটনায় অভিযুক্ত সদর উপজেলার বলেশ্বর গ্রামের মৃত জিন্নত আলীর ছেলে নাজিম (৪৫) জেল হাজতে
প্রেরণ করেছে পুলিশ।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বলেশ্বর গ্রামের মৃত জিন্নত আলীর ছেলে
নাজিম। পেশায় স্বণার্লংকার ব্যবসায়ী নাজিমের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর চাকরী ও
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নাজিম প্রতিবেশী গ্রামের নবম শ্রেণী পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীকে কক্সবাজার
নিয়ে যায়। তিন দিন হোটেলে বন্দি করে রেখে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে নাজিম।
এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়ে নবম শ্রেনীর ওই শিক্ষার্থী। পরে ২০ সেপ্টেম্বর অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীকে বাড়ীর পাশে রেখে
পালিয়ে যায় অভিযুক্ত নাজিম। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে নিযার্তিত কিশোরীর মা-বাবা মঙ্গলবার
কোতয়ালী থানায় এসে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত নাজিমকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ
করে।
নিযার্তিত শিক্ষার্থীর বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আমার মেয়েকে চাকরী ও
বিয়ে করার নাম করে নাজিম এমন জঘণ্য কাজ করে। আমার দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে আমার মেয়ের
জীবনটাকে নষ্ট করে দিলো নাজিম। আমরা ন্যায় বিচার চাই।
মামলার তদন্ত কর্মকতার্ কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শাহিন কাদির জানান, নাজিম খুব
ভয়ংকর প্রকৃতির লোক। এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ করেছে। তাকে আটক করে জেল
হাজতে প্রেরণ করেছি।
বিষয়টি নিয়ে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ মোঃ আনোয়ারুল হক জানান, আমরা
কিশোরীকে পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে
মামলা দায়ের শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।