ফয়সাল, স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লা প্রকাশ্যে কাউন্সিলর আলমগীর ও তার ভাইদের হামলায় নিহত ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন হত্যাকান্ডে জড়িত ২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনসহ ৭ আসামি ৪ দিনেও গ্রেফতার হয়নি। এ নিয়ে নিহতের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং এলাকাবাসীর মধ্যেও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গত জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে নিহত আক্তার হোসেনকে টেনে হেঁচড়ে বের করে হামলা চালিয়ে হত্যা করে কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন ও তার ভাইয়েরা। এরপর অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিন জনকে আটক করে।
শনিবার আক্তার হোসেনের স্ত্রী রেখা বেগম কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় কাউন্সিলর আলমগীরসহ ১০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আক্তার হোসেনের ভাই মোঃ শাহ জালাল আলাল জানান, আমার ভাইকে হত্যার পর কাউন্সিলর আলমগীর আত্মগোপনে থেকে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে । তার সব রকমের ক্ষমতা আছে। এই হত্যা মামলা তার কিছুই করতে পারবে না। টাকা পয়সা দিয়ে সমস্যার সমাধান করে ফেলবে। সুযোগ পেলে আবারও দেখিয়ে ছাড়বে বলে হুমকি দিয়ে আসছে। পুলিশ তার তিন ভাইকে গ্রেফতার করেছে। আলমগীরসহ অন্যান্য আসামিদের দ্রত গ্রেফতারের দাবি করছি।
সে এলাকার ভূমিদস্যু, ত্রাসের রাজত্ব চালিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রাখছে। আক্তার হোসেনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে এলাকার কাউন্সিলর আলমগীর ও তার ভাইদের আইনের আওতায় এনে সাধারণ মানুসের মুক্তির দাবি জানান তিনি।
সদর দক্ষিণ থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, মামলায় ৩ আসামি কারাগারে আছে। আলমগীরসহ বাকি আসামিরা পালাতক রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে কুমিল্লার মহানগরসহ আশপাশের এলাকাগুলো অভিযান চালানো হয়েছে। মোবাইল ট্রাকিং অব্যাহত রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।