নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুমিল্লার মুরাদনগরে ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বেশ কয়েকটি হিন্দু পরিবার। এ ঘটনায় একটি ইউনিয়নে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
সোমবার (০৯ নভেম্বর) সেই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ ও বাংলাদেশ চৌষট্টি জেলা সাংবাদিক ফোরাম এর কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক সাংবাদিক ফয়সাল মবিন পলাশ, দৈমিক কালের কন্ঠ দেবীদ্বার প্রতিনিধি এ.বি.এম. আতিকুর রহমান বাশার, দৈনিক মুক্ত খবরের কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি সাজ্জাদ হোসেন শিমুল, কুমিল্লা ৭১ নিউজের সম্পাদক প্রকাশক সাংবাদিক কাজী এহসান আহমদ, সাংবাদিক তারেক মাহমুদ মজুমদার, সাংবাদিক সূমিত্রা ঘোষ।
ঘটনস্থলে আরো উপস্থিত ছিলেন, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের দেবীদ্বার সভাপতি শ্রী অনিল চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক বিকাশ কুমার দাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তপন সাহা, বিপ্লব পালসহ বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্র চন্দ্র পাল।
উল্লেখ্য, গত রোববার সন্ধ্যায় গুজব ছড়িয়ে পুর্বধইর পুর্ব ইউপির চেয়ারম্যান বন কুমার শীবসহ ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের একাধিক বাড়ি ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়, এসব মামলায় ১২৮৫জনকে এহজহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরো এক হাজারজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার (০২ নভেম্বর) ৫জনকে গ্রেপ্তারের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে, পরে আরো ১১জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান বাঙ্গরাবাজার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার।
খবর পেয়ে রোবার (০১ নভেম্বর) রাতেই জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর ও পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সোমবার (০২ নভেম্বর) দুপুরে কোরবানপুর এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে সার্বিক সহযোগিতার উদ্যোগ গ্রহন করেন কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর আসনের সংসদ সদস্য ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এফসিএ। একই সময় চট্রগ্রাম রেঞ্চের ডিআইজি মো: আনোয়ার হোসেনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এবিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, সোমবার (০২ নভেম্বর) আন্দিকোট এলাকায় সভা-সমাবেশ ও বিশৃঙ্খলা হতে পারে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই ইউনিয়ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। তবে পুলিশ-প্রশাসনের সতর্ক অবস্থানের কারণে সেখানে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়নি। তারপরও আমাদের সার্বিক নজরদারি অব্যাহত আছে।