ফয়সাল মবিন পলাশঃ
কুমিল্লায় বেড়েই চলেছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবাধে অবৈধ সংযোগ নেয়ায় যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ বলছে, অবৈধ গ্যাস সংযোগের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি প্রতিদিনই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে।
দেশের অন্যতম বৃহৎ গ্যাসক্ষেত্র কুমিল্লার বাখরাবাদ। প্রতিষ্ঠানটির কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঠিকাদারসহ রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের কেউ কেউ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্নস্থানে হাজার হাজার অবৈধ সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও কিছুদিনের মধ্যে আবারও সংযোগ টেনে নেয় ওই অসাধু চক্রটি। অনেক স্থানে আবার গ্যাসের লাইন মাটির নিচ দিয়ে না নিয়ে মাটির ওপর দিয়ে টেনে নেয়া হয়েছে। মাটির ওপরে ও রাস্তার পাশে পাইপ থাকায় যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দ্রুত কার্যকর প্রদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা। কুমিল্লা সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্টিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কথা তো বলবোই এর সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি যিনি আছেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ বিষয়ে নজর দেয়া দরকার যাতে করে অবৈধভাবে গ্যাস অপচয় না হয়।’
প্রতিদিনই অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্টিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শংকর মজুমদার বলেন, ‘অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া আছে। যদি আমাদের টিম কোনভাবে বাধাগ্রস্ত হন আমরা সে লাইনগুলো অপসারণে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
এ পর্যন্ত ৩৫৫ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাসলাইন বিচ্ছিন্ন ও প্রায় ৯০ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন ধ্বংস করা হয়েছে।