তিতাস (কুমিল্লা) উপজেলাঃ
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের প্রবাসী হালিম মিয়ার ২০ মাস বয়সী শিশু কন্যা রাইসাকে অপহরণের ১৬ ঘন্টার মধ্যেই জীবিত উদ্ধার ও একজন আপহরণকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
সূত্রে জানাযায়, তিতাস থানার উলুকান্দি গ্রামের প্রবাসী হালিম মিয়ার স্ত্রী জান্নাত আক্তার তাঁর ২০ মাস বয়সী শিশু কন্যা রাইসাকে নিয়ে ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। ২৮ জানুৃয়ারি ভোরে সাড়ে ৪টার দিকে ঘুমন্ত মেয়েকে বিছানায় রেখে বাতরুমে যায় এবং ফিরে এসে দেখতে পান তার কোলের শিশুকন্যা রাইসা বিছানায় নেই।
সকাল বেলা যখন সবাই নিখোঁজ শিশু রাইসার জন্য খোঁজপেত পরিবারের লোকজন ব্যস্ত এমন সময় অজ্ঞাত পরিচয়ে এক ব্যক্তি ২লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার বিনিময়ে অপহৃত শিশুটিকে ফেরত প্রদানের শর্ত দেয়। পুলিশ প্রশাসনকে বিষটি জানতেও নিষেধ করা হয় এবং জানালে শিশু রাইসাকে হত্যার হুমকি প্রদান করে অপহরণকারীদল।
কিন্তু তিতাস থানা পুলিশ শিশুটি নিখোঁজ ও মুক্তিপণের বিষয়টি জানার পর উদ্ধার তৎপর প্রক্রিয়া শুরু করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) মীর আবিদুর রহমান জানান, ঘটনাটি জানার পর কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার) মহোদয়ের সরাসরি দিক-নির্দেশনায় আমরা তিতাস থানার ওসি সৈয়দ আহসানুল ইসলাম ও কুমিল্লা ডিবি পুলিশের যৌথ একটি টিম উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। সারাদিন তথ্যপ্রযুক্তি ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে সফলতার সাথে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। প্রায় ১৬ ঘন্টা শিশুটি অপরহণের পর রাত ৮টার দিকে তিতাসের উত্তর বলরামপুর গ্রামের অপহরণচক্রের সদস্য কবির হোসেনের নিকট থেকে শিশু রাইসা (২০ মাস বয়সী) কে সতর্কতার সাথে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। যেহেতু শিশুটি বয়স মাত্র ২০ মাস তাই উদ্ধারের পরপর দ্রুত তাকে শাররীক চেকআপের জন্য তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় ও পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ ঘটনাটি শুনার পর সতর্কতার সাথে উদ্ধার অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছেন। যেন শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করে পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়।
অপহরণ চক্রের পেছনে কারা জড়িত ও মূল রহস্য খুঁজে বের করতে তিতাস থানার তদন্তকর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। অপহরণ, মাদক, সন্ত্রাস ও সকল প্রকার অপরাধ দমনে জেলার প্রত্যেক থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।
উদ্ধারকৃত শিশু রাইসার বাবা প্রবাসী হালিম মিয়া তার সন্তান ফিরে পাওয়ার প্রতিক্রায়া বলেন: পুলিশের উদ্ধার কার্যক্রমের প্রশংসা করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।