কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ১০ টন সিমেন্টবাহী একটি ট্রলার কুমিল্লা দাউদকান্দি থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সোনামুড়া বন্দর পর্যন্ত পৌঁছানোর মধ্যদিয়ে পরীক্ষামূলক এ নৌ চলাচল শুরু হলো।
যদিও বাংলাদেশের প্রিমিয়ার সিমেন্ট কোম্পানির ট্রলারটি তাদের উৎপাদিত সিমেন্ট নিয়ে সোনামুড়া বন্দরে পৌঁছার পূর্বেই নাব্যতা সংকটে তা আটকে যায় কুমিল্লা সদর উপজেলার বিবির বাজার এলাকায়। বেলা ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ট্রলারটি সেখানেই আটকে ছিল।
এর আগে কুমিল্লার বিবির বাজার গোমতীর অংশে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক বেলুন উড়িয়ে পরীক্ষামূলক নৌ চলাচল উদ্বোধন করেন।
এসময় কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর, কাস্টমস কর্মকর্তা সুভাস চন্দ্র মজুমদার, কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান, তানভীর সালেহীন ইমন, কাস্টমস কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুই দেশের মধ্যে পরীক্ষামূলক নৌ চলাচল উদ্বোধন উপলক্ষে ভারতের সোনামুড়ায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাসকে বিবির বাজার স্থলবন্দরে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
তিনি জানান: চলতি বছরের মে মাসে ঢাকায় দু’দেশের মধ্যে নতুন দুটি নৌ পথের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর একটি রাজশাহী থেকে ভারতের দুলিহান এবং অপরটি কুমিল্লা দাউদকান্দি থেকে ত্রিপুরা সোনামুড়া। ওই চুক্তি অনুসারে আজ (শনিবার) প্রথম সিমেন্ট এক্সপোর্ট এর মাধ্যমে ট্রায়াল রান শুরু করা হলো। এখন নৌ পথের নাব্যতা সংকটসহ আরও যে সকল সমস্যা চিহ্নিত হবে সেগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হবে, কানেকটিভিটি বাড়বে।
তিনি আরও জানান: এটি একটি ঐতিহাসিক দিন বাংলাদেশ ও ভারত দুদেশের জন্য। সাধারণত দু’দেশের মধ্যেই ট্রাকযোগে পণ্য আমদানি রপ্তানি করা হয়। এই নৌ পথ চালুর ফলে বর্তমানে দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাবে, আমদানি রপ্তানি ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে।
ভারতের সোনামুড়ায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দে বলেন: আজকের এই দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন: শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তো আছেনই, তার মধ্যে মাতৃত্বের যে ছায়া রয়েছে- সেই মাতৃত্বের ছায়া ত্রিপুরাবাসী পেয়েছে। তার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ত্রিপুরাবাসী তথা ভারতবর্ষের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।