ডেস্ক রিপোর্ট:
যৌতুকের টাকা না পেয়ে আবদুল কাদের ২০০৯ সালের ২৪ জুন স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করেন।
কুমিল্লায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড হয়েছে।
মঙ্গলবার কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন ১৩ বছর আগের এই মমালার রায় দেন।
দণ্ডিত আবদুল কাদের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চকলক্ষ্মীপুর গ্রামের প্রয়াত মালু মিয়ার ছেলে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রদীপ কুমার দত্ত জানান, দণ্ডিত আসামি আবদুল কাদেরের বিয়ে হয় ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। বিয়ের সময় ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেছিলেন কাদের। কনের পরিবার সে সময় নগদ ২০ হাজার টাকা দেয়। কিন্তু বাকি ৩০ হাজার টাকার জন্য কাদের স্ত্রীকে প্রায়ই মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন করতেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০০৯ সালের ২৪ জুন রাতে আবদুল কাদের স্ত্রীকে নির্যাতন ও মারধর করেন; এতে স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তখন লাশ পুকুরে ফেলে কাদের প্রচার করেন মৃগী রোগে তার স্ত্রী মারা গেছেন।
এ ঘটনায় তার স্ত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় পরদিন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রদীপ কুমার দত্ত জানান, দীর্ঘ শুনানির পর মঙ্গলবার আসামি আবদুল কাদেরকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়; একই সঙ্গে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। এ ছাড়া মামলার অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
কুমিল্লা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমান বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামি আবদুল কাদের আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে এরই মধ্যে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ: বিডিনিউজ২৪.কম