বাঙ্গরাবাজার থানা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগরের ধনপতিখোলা হতে পিপিড়াকান্দা সড়কের উত্তর-দক্ষিণ পাশের প্রায় ৩ হাজার একর জমির নেই কোন পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা। এই এলাকায় অল্প বৃষ্টিতেই ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষক ও চাষাবাদ ।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন সরকারি হালটের জমিতে পানি নিষ্কাশনের জন্য যেই নালাটি ব্যবহার করা হতো তা কয়েকজন অসাধু ব্যাক্তি ভরাট করে অবৈধ ভাবে বাড়ি, মুরগির খামার, পুকুর কেটে বাঁধ দিয়ে দখল করে রেখেছেন। যার ফলে ওই এলাকার প্রায় ৩ হাজার একর জমির পানি নিষ্কাসনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় কর্মহীন হয়ে পরছে হাজার হাজার কৃষক, বন্ধ হয়ে গেছে তিন ফসলি চাষাবাদি জমির চাষাবাদ।
এলাকার স্থানীয় লোকজন থেকে জানাযায় দখলদারদের সাথে এ বিষয়ে একাধিকবার কথা বলতে চাইলেও জায়গা দখল কারিরা স্থানীয় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও কৃষকের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে কৃষকরা আরো জানান, আমাদের জমিতে বছরে ৩ ধরনের ফসল ফলানো হত, যা আগে আমরা করতাম। কিন্তু দূর্ভাগ্যবসত নালাটি দখল হয়ে যাওয়ায় তা এখন সম্ভব হচ্ছেনা, কারন ফসল ফলানোর মতো কোন সুযোগ এখন আর আমাদের নেই। অল্প বৃষ্টিতেই পুরো ৩ হাজার একর জমিতে হাটু সমান পানি হয়ে যায়। নেই কোন পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা। আগে যে নালাটি দিয়ে পানি সরাসরি পাশের নদীতে যেত তাও এখন দখলদাররা ভড়াট করে পানি চলাচল বন্ধ করে রেখেছে, যার কারনে জমে থাকা পানিতে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আমাদের এখন বুকফাটা কান্না করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। চাষাবাদ করতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে আমাদের দিন পার করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় নেতা নাইয়ুম খান জানান, আমি এলাকা বাসির পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, এই এলাকার ৩ হাজার একর জমির পানি যাওয়ার নালাটি যে খালটির সাথে আগে সংযুক্ত ছিলো তা দখলদার দের হাত থেকে অচিরেই উদ্ধার করে পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা যেন করে দেয়া হয়, এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে তাঁদের সঠিক শাস্তি দেয়া হয়।