সাজ্জাদ হোসেন শিমুল
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারাদেশে চিকিৎসা সেবা প্রায় বিপর্যস্ত। অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশংখায় ডাক্তাররা নিয়মিত হাসপাতালে না যেতে পারা ও চেম্বার বন্ধ রাখায় সাধারণ রোগীরাও তাদের পাওনা সেবা থেকে হচ্ছেন বঞ্চিত। তবে তার উল্টো চিত্রের দেখা গেল করোনার হটস্পট খ্যাত কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায়। করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই জীবনের ঝুকি নিয়ে সাধারণ রোগীদের শতভাগ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ৪ জন চিকিৎসক। তাদের মধ্যে কেউ নিয়মিত হাসপাতালে, আবার কেউবা নিজস্ব চেম্বারেই দিচ্ছেন চিকিৎসা সেবা।
করোনাকালীন দূর্যোগ মূহুর্তে বীরের মত নিজেদের জীবন বাজিরেখে মুরাদনগর উপজেলাবাসিকে যেসব চিকিৎসকরা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, ডাঃ সিরাজুল ইসলাম মানিক, ডাঃ আবদুল্লাহ আল মামুন, ডাঃ সানজিদা আক্তার ও ডাঃ কামরুল ইসলাম।
জানা যায়, করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কোবিড-১৯ রোগীরা যখন ডাক্তার না পেয়ে বিনা চিকিৎসায় নানা সমস্যায় ভোগছেন, ঠিক তখনই জীবনের ঝুকি নিয়ে সাধারণ রোগীদের শতভাগ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এই চার চিকিৎসক। এছাড়াও রোগী দেখার পাশাপাশি মোবাইলযোগেও রোগীদের প্রতিনিয়ত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সিরাজুল ইসলাম মানিক ও মেডিকেল অফিসার ডাঃ সানজিদা আক্তার জীবনের ঝুকি নিয়ে দৈনিক গড়ে প্রায় দুই শতাধিক রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।
অপরদিকে ঢাকা মাতুয়াইলের শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবদুল্লাহ-আল-মামুন সপ্তাহে ৩দিন মুরাদনগরে তার চেম্বারে প্রায় ২শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
পিছিয়ে নেই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিষ্টার ডাঃ কামরুল ইসলাম তিনিও সপ্তাহে ৩দিন করে মুরাদনগরে এসে জীবনের ঝুকি নিয়ে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন।
এ উপজেলায় করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৩জন চিকিৎসক, ৩৭জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ১জন স্বেচ্ছাসেবক ল্যাব টেকনিশিয়ানসহ সর্বমোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২৮৯ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৭৩ জন ও মৃত্যু বরণ করেছে ১২ জন।