বিজ্ঞপ্তি:
"কুমিল্লা টাইমস টিভিতে" আপনার প্রতিষ্ঠান অথবা নির্বাচনী প্রচারনার জন্য এখনি যোগাযোগ করুন : ০১৬২২৩৮৮৫৪০ এই নম্বরে
শিরোনাম:
“অপারেশন ডেভিল হান্ট” মুরাদনগরে যুবলীগের সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত বাবু গ্রেপ্তার নূরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ মুরাদনগরে অবৈধ ইটভাটাকে ৩লক্ষ টাকা জরিমানা, কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা ব্যঙ্গ করে নাম ডাকায় হোমনায় কিশোরের ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন কুমিল্লায় আইনজীবী সমিতিতে আ’লীগের দুই নেতা, বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা মুরাদনগরে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন সফল করতে স্বাগত মিছিল মুরাদনগরে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল প্রশাসন জামায়াতের কর্মী সম্মেলন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কায়কোবাদ দাদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার, নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন ঘোড়াশাল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে গৌরীপুর একাডেমি চ্যাম্পিয়ন মুরাদনগর ভূতাইলে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ঘোড়াশাল অনির্বাণ স্পোর্টিং ক্লাব মুরাদনগর ছাত্রকল্যাণ পরিষদ কুবি’র নবীন বরণ ও মিলন মেলা মুরাদনগরে পিৎজা গ্যালারির উদ্ধোধন বাঞ্ছারামপুরে কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত মুরাদনগরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

করোনাকালে কুবির নিরাপত্তাকর্মীরা পায়নি স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী

  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল, ২০২১
  • ৭০৫ বার পড়া হয়েছে
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় - Comilla University
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় - Comilla University

রকিবুল হাসান, কুবি প্রতিনিধিঃ

বৈশ্বিক করোনা মহামারীর প্রভাবে ২০২০ সালের মার্চে বন্ধ হয়ে যায় সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনে বন্ধ রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ছুটিতে রয়েছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই। তবে ছুটি মেলেনি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাকর্মীদের। অথচ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরাই রয়েছে অনিরাপদে। করোনাকালীন তারা পায়নি কোন স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী।

খোজঁ নিয়ে জানা যায়, গেল বছরের মার্চ থেকে করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেলে বন্ধ হয়ে যায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই বাড়ি ফিরে যাওয়ায় জনমানবশূন্য ক্যাম্পাসে দেখা দেয় নিরাপত্তাহীনতা। তাই ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩১ জন সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্থ নিরাপত্তা প্রহরী ২৩ জন নিরাপত্তাকর্মীর ছুটি মেলেনি। জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করলেও তারা পায়নি কোন নিরাপত্তা সুরক্ষা সামগ্রী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শুরুতে মাস্ক দেওয়ার কথা থাকলেও এক বছরেও পায়নি করোনা সুরক্ষা সামগ্রী। এছাড়া গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিংবা কোন করোনা সুরক্ষা সামগ্রী এখনো দেওয়া হয়নি। এসময়ে অনেকে ওভার টাইম দায়িত্ব পালন করলেও মেলেনা ওভার টাইম ভাতা। এছাড়া পুরো ১ বছর করোনাকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করলেও আনসার সদস্যরা পায়নি ঝুকিঁভাতা। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নিরাপত্তাকর্মীরা।

কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োজিত নিরাপত্তাকর্মীদের সাথে। তারা বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধের সাথে সাথে সবাই বাড়ি ফিরলেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকায় তা আমরা যেতে পারিনি। আমরা ছোট চাকুরি করতে পারি, কিন্তু দায়িত্ব অনেক বড়। আপনারা চলে গেলেও আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। কিন্তু গত এক বছরের অধিক সময় ধরে করোনায় জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে কাজ করছি আমরা। তবুও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের জীবনের সুরক্ষার জন্য মাস্ক, গ্লাভসের হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করেনি। আমরা অল্প বেতনের চাকরি করি। প্রতিদিন এগুলা কিনা ব্যবহার করা তো সম্ভব হয়না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রথমদিকের লকডাউনে সুরক্ষা সামগ্রী দেয়ার কথা বলেছিল অথচ তা আমরা এখনো পায়নি। এবিষয়ে কেউ কখনো কথাও বলেনি আমাদের সাথে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আনসার সদস্য বলেন, শুরুতে মাস্ক, স্যানিটাইজার দেয়া হয়েছিল। পরে আর দেওয়া হয়নি। আমরা নিজেরা মাস্ক কিনে ব্যবহার করি।
বিশ্ববিদ্যালয় আনসার প্লাটুনের কমান্ডার আজিজুর রহমান বলেন, পূর্বে এগুলো দেওয়া হয়েছে কিনা জানিনা। তবে আমি আসার পরে দেওয়া হয়নি। তবে গতকাল একটা সভা হয়েছে নিরাপত্তা শাখার স্যারের সাথে, সেখানে সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়ার জন্য সিকিউরিটি অফিসারেরা প্রশাসনকে বলছে। তবে কোনকিছু দেওয়া হয় নাই, দিবে বলে কোন আশ্ববাসও দেয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, আমি যতটুকু জানি নিরাপত্তা প্রহরীদের সেরকম কিছু দেওয়া হয়নি। শুরু থেকে দিবে বলছিল তবে দেয়নি। আমাদের পরিষদ থেকে আবেদন করব আবার।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নিরাপত্তা শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মো. ছাদেক হোসেন মজুমদার বলেন, নিরাপত্তাকর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রী একেবারে দিয়নি বললে ভুল হবে। আমরা এক দুই বার দিয়েছে, তবে সেটা নিয়মিত দিতে পারি নি। আমরা নতুনভাবে আবার মাস্ক, স্যানিটাইজার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওভার টাইম করার পরও কেন প্রহরীরা ওভার টাইম ভাতা পাচ্ছেনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওভারটাইম নিয়ে একটু সমস্যা আছে। এখন ঘন্টা অনুপাতে টাকা দেওয়া হবে। যেহেতু আগের নিয়মে পেমেন্ট করা সম্ভব হচ্ছেনা, তাই একটু দেরি হচ্ছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট আবেদন করা আছে, প্রশাসন অনুমোধন করলে তারা একসাথে টাকা নিতে পারবে।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, সিকিউরিটি অফিসার কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী কিনে দিতে, তবে তারা তা কিনেছেন কিনা নিশ্চিত নয়। নিরাপত্তা যেহেতু জরুরি সেবার মধ্যে একটি অবশ্যই তাদের মাস্ক, স্যানিটাইজার প্রয়োজন। ওভার টাইমের টাকার বিষয়ে তিনি বলেন, আগে নিয়মবহির্ভূত ভাবে বেসিক হিসাবে ওভারটাইম দেয়া হতো, কিন্তু ইউজিসিসহ বেশীর ভাগ অফিস ঘন্টা হিসাবে দেওয়া হবে। তারা দাবি জানিয়েছে সে বিষয়ে উপাচার্যের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


কুমিল্লা টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

বিজ্ঞাপন

সকল স্বত্বঃ কুমিল্লা টাইমস কতৃক সংরক্ষিত

Site Customized By NewsTech.Com