কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
গরু চুরির অভিযোগে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের একটি গ্রামে মা, দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ ৫ জনকে রশিতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা পর্যবেক্ষণে রাখার কথা জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, ‘এ ঘটনা তদন্তে গাফিলতি হলে আমরা বিষয়টি দেখবো।’
ঘটনা সংক্রান্ত দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনার পর সোমবার (২৪ আগস্ট) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। আদালতে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনেন অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা ও জামিউল হক ফয়সাল।
গত ২১ আগস্ট দুপুরে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন জুমার নামাজের সময় একটি সিএনজি পহরচাঁদা এলাকায় অবস্থান করে। এ সময় সিএনজি চালক গাড়ি নষ্ট হয়েছে ভান করে মেরামত করতে থাকে। ওই সময় গাড়িতে কয়েকজন মেয়েকে দেখে কারও সন্দেহ হয়নি তারা গরুচোর। পরে ওই চোরের দল রাস্তার পাশে থাকা একটি গরু সিএনজিতে তুলে নেয়। ঘটনাটি মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক দেখে ফেললে তাদের পিছু নেয়। একপর্যায়ে সিএনজিটি রেললাইন এলাকায় কাদা মাটিতে আটকে গেলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের ধাওয়া দিয়ে ধরে ফেলে এবং রশি দিয়ে বেঁধে প্রকাশ্যে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।
ওই ঘটনায় স্থানীয় মাহমুদুল হক বাদী হয়ে গরু চুরির অভিযোগে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট এলাকার আবুল কালামের স্ত্রী পারভীন আক্তার, তার মেয়ে সেলিনা আক্তার, রোজিনা আক্তার, ছেলে আরমান ও পেকুয়া উপজেলার ছুট্টু নামের একজনকে আসামি করা হয়। পরে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।
তবে এ ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এমনকি ঘটনার সময়ে রশিতে বাঁধা অবস্থায় মা-মেয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি প্রকাশ পায়। তাই এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।