সুকৃতি ভট্টাচার্য্য:
আশ্বিনের শরৎ প্রাতে বেজে ওঠে ঢাক ঢোল আর মন্দিরে সাজ,
মণ্ডপে মণ্ডপে বাজে শাঁখ উলুধ্বনি পঞ্চ প্রদীপ আরতি
বাঙালি ললনা লাল পাড়ের শাড়ীতে কি অপূর্ব সাজ,
দেরী নয় আর চলো দেবী দর্শনে যায় মণ্ডপে আজ।
ঘুরে বেড়ায় অলিতে-গলিতে দেবী দর্শনে,
বছর ঘুরে মা আসে বাহারি সজ্জিত অলংকারে,
দোলায় আগমন বিজয়াতে কেঁদে উঠে অন্তর তোমার গমনে,
শিউলির গন্ধে দূর হোক মনের যতো কালিমা,
তোমার পদতলে বসে শাঁখ উলু কাঁসর ঘন্টা বাজাবে ললনা।
বেজে উঠবে ক্ষনে ক্ষনে ঢাক সারাদিন চলবে চন্ডীপাঠ,
এসো মা বসো তোমার সাজানো মন্ডপ চারিপাশ।
কৃপা করো দেশ দশের, ধ্বংস করো অশুভ শক্তির অসুর,
তোমার আগমনে আশা জাগে মনে, পায় প্রাণে ভরষা,
এিনয়নী দোলায় চেপে কাশ ফুলের ধারে ধারে শ্বেত শুভ্র
কাশ বন নাড়া দিয়ে মণ্ডপে অব স্হান করো।
সকল বিপদ থেকে তোমার সন্তানদের রক্ষা করবে এটাই প্রগাঢ় বিশ্বাস।
হে মহাশক্তির দেবী তুমি লক্ষী রুপে বিষ্ণুর ভার্যা,
তেমনি সীতা রুপে রামের সঙ্গিনী আবার দূর্গারুপে শিবের সহধর্মিণী,
তুমিই আদ্যাশক্তি রুপে সর্বএ বিরাজিত।
জীবনের অহংকার বা রুঢ় তাকে নাশ করো বলে পরাশক্তির অপর নাম চণ্ডী,
যাকে আমরা বলি দেবী দূর্গা।
।।সৃষ্টি স্থিতি বিনাশানং শক্তি ভূতে সনাতনী
গুণাশ্রয়ে গুণময়ী নারায়ণী নমোহস্তুতে।।