- মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক— কমর্চারিদের বেতন ভাতার বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লার মুরাদনগরেও কর্মবিরতি পালন করেছে উপজেলার সকল এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক—কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের আহবানে ১২ ও ১৩ মার্চ তিন ঘন্টা করে দুইদিন এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক—কর্মচারীসহ শিক্ষকদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশের জন্য ছাত্রছাত্রীরা ও অংশ নেন।
তাছাড়া নতুন ঘোষনা অনুসারে ১৪ তারিখও কর্মবিরতি পালন করবে বলে জানান শিক্ষক নেতারা।
উপজেলার বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন হাতে নিয়ে শিক্ষা জাতীয়করণের জন্য বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে। অনেক জায়গায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকরা আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছেন বলেও জানা যায়।
আন্দোলনের কারণ জানতে চাইলে শিক্ষক নেতারা বলেন, এমপিও ভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা পাতা পান। একই কারিকুলামে একই সিলেবাসে পাঠদান করিয়েও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য।
বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। তাছাড়া বিগত কয়েক বছর অবসর সুবিধা বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করা হলেও প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তাই এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করে শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বৈষম্য দূর করতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা দুইদিন ধরে তিন ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করছি।
তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থা স্মার্ট করতে প্রয়োজন স্মার্ট শিক্ষক। তাই স্মার্ট শিক্ষক পেতে শিক্ষায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি সহ মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের বিকল্প নেই।
উল্লেখ্যঃ এমপিওভুক্ত শিক্ষক—কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট নেতৃত্বে গত ২৪ শে ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির পালন করে আসছে।