কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইলে এক ইউপি সদস্যের উপর হামলার জের ধরে ব্যবসায়ীর বাড়ীতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার চন্দনাইল গ্রামে এই ভাংচুর ও লটপাটের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন শ্রীকাইল ইউনিয়নের চন্দনাইল গ্রামের সোমবার রাতে সবুজ মেম্বারের উপর হামলা করে একদল বখাটে। এসময় তাকে মারধর করে নগদ অর্থসহ তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ইউপি সদস্যের উপর এই হামলার ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার চন্দনাইল গ্রামের ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিনের বাড়ীতে রাতে আধারে ২০/২৫জনের একটি সন্ত্রাসীদল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় শব্দবোমা ফাটিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে হামলাকারীরা।
হামলার প্রত্যক্ষ্যদর্শী ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিনের স্ত্রী আসমা আক্তার বলেন, ্আমরা নামাজ পড়তে ছিলাম এসময় বাহিরে হট্টগোল শুনে তাকিয়ে দেখিয়ে দেখি আমার বাড়ীঘর ভাংচুর করতেছে, একের পর এক বোমা মারতেছে। ঘরের আলমারী থেকে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে নেয়। এই অবস্থা দেখে আমি প্রাণের ভয়ে আমার মেয়ে আর ছেলের বউকে নিয়ে বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে যাই।
নাছির উদ্দিনের ছেলে নাজমুল বলেন, মেম্বারে উপড় হামলার ঘটনায় আমরা জড়িত নই। তবুও হামলাকারীরা আমাদের বাড়ী ভাংচুর করার সাথে সাথে মুরগীর খামারের অনেক ক্ষতি করেছে। ফার্মের ভেতরে শব্দবোমা ফাটিয়ে মুরগীর বাচ্চা গুলো মেরে ফেলেছে। সব মিলিয়ে আমাদের প্রায় ৪লক্ষ টাকার ক্ষতি করে এবং আমার বাবাকে দা’য়ের কোপে আহত করে। আমরা হামলার আতংকে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। এই ঘটনায় আমার বাবা বাঙ্গরা বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ইউপি সদস্য সবুজ মিয়া বলেন, নাছির মিয়ার মিয়ার বাড়ীতে হামলার ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। দুদিন আগে সন্ত্রাসীরা আমাকে পিটিয়ে আহত করেছে। রাজনৈতিক ভাবে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।
এব্যাপারে বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিউল আলম বলেন, ব্যবসায়ীর বাড়ীতে হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।