ডেস্ক রিপোর্টঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর ওপর নানা অত্যাচার নির্যাতন শুরু হয়। সিলেটে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর বোমা হামলাসহ দেশের ৫ শতাধিক স্থানে বোমা হামলা, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির প্রতিবাদে আমরা যখন বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সমাবেশ ও র্যালি করতে যাই, সেই সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। এই হামলা চালিয়ে আমাকে হত্যা করাই ছিল তাদের প্রধান টার্গেট।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার ১৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকালে আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের প্রধান কার্যালয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে ভার্চুয়াল আলোচনায় গণভবন থেকে অংশ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় তিনি বলেন, ‘বিএনপি জড়িত ছিল বলেই হামলার আলামত নষ্ট করা হয়েছে।’ তৎকালীন সরকারের মদদ ছাড়া কিছুতেই এই নৃশংস হামলা চালানো সম্ভব ছিল না বলেও জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে দেয়নি বিএনপি। আর ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতেই চালানো হয় বর্বোরোচিত এই হত্যাকাণ্ড।
১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে খুনিদের সাথে যেমন জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন, তেমনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমান সরাসরি জড়িত ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। এই হত্যাকাণ্ডে বিএনপি জড়িত না থাকলে তারা কেন আলামত নষ্ট করেছিল, সে প্রশ্নও তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
নানা ষড়যন্ত্রের মধ্যেই দেশ এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবেই।’
শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেকটা ঘটনা ঘটার আগে খালেদা জিয়া যে ভবিষ্যদ্বাণী ও বক্তব্য রেখেছিলেন, সেগুলোই তার প্রমাণ। কোটালীপাড়ায় বোমা হামলার আগে তিনি বলেছিলেন, ১০০ বছর ক্ষমতায় আসতে পারবে না আওয়ামী লীগ। আবার ২১ আগস্ট বোমা হামলার আগে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, শেখ হাসিনা কোনো দিন বিরোধী দলের নেতা হতে পারবেন না। এ বক্তব্যগুলো প্রমাণ করে যে এই গ্রেনেড হামলার সঙ্গে তারা জড়িত। তাছাড়া আলামত নষ্ট করা একটি প্রধান প্রমাণ।
আলোচনা সভা পরিচালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ১৯৭১, ১৯৭৫ ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।