ডেস্ক রিপোর্টঃ
নরসিংদী ও সিরাজগঞ্জের সিদ্ধান্ত দলে কোন্দল সৃষ্টিকারীদের জন্য কঠোর বার্তা আওয়ামী লীগের।
সুস্থ প্রতিযোগিতাকে স্বাগত জানানোর পাশপাশি, দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ দমন করতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। গত বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হীরু এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভূঁইয়াকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। আর স্থানীয় কোন্দলের জেরে রবিবার (২২ নভেম্বর ) অব্যাহতি দেয়া হয় সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডা. হাবিবে মিল্লাতকে।
দলে কোন্দল সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে এ নীতিতেই চলবে বলে জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। নরসিংদী এবং সিরাজগঞ্জের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতির মাধ্যমে তৃণমূলকে সেই বার্তাই দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ বলছে দু’টি ঘটনার মূলে জেলার শীর্ষ নেতাদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব।
দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, দলের ভেতরে দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে যে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তেমনি দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতেও তার অবস্থান অনমনীয়।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘দলের ঐক্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এমনকি কারও জন্য যদি দলীয় শৃঙ্খলা নষ্ট হয় প্রয়োজনে তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে।
আর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ‘তাদের কর্মকাণ্ড দলের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় দলের নীতিনির্ধারকরা তাদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোন্দল দুর করতে যেসব সাংগঠনিক ইউনিটের নেতাদের বারবার সতর্ক করার পরও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি তাদের জন্য নরসিংদী এবং সিরাজগঞ্জের সিদ্ধান্ত কঠোর বার্তা বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
সভাপতির নির্দেশ অনুযায়ী দলকে আরও সুসংগঠিত করতে খুব শিগগিরই দেশব্যাপী সীমিত পরিসরে সাংগঠনিক সফর শুরু করা হবে বলে জানান নেতারা।