সুকৃতি ভট্টাচার্য্যঃ
অনিন্দ্য বন্ধুর হাত ধরে শহর থেকে গ্রামে একটি বিয়ে দেখতে এসে অনুকে পছন্দ করে।
খুব সাদাসিধা গরীব ঘরের লক্ষীমন্ত মেয়ে, যার চাহনি অনিন্দ্যকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।অনুর রুপ, গুন তাকে খুবই মুগ্ধ করে।
অনিন্দ্য তাকে মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে,মোটামুটি চোখের আড়াল করতে চাই না।অনুও তাই মৌনতা সম্মতির লক্ষন।
দিন,ক্ষন দেখে তাদের বিয়ে দেওয়া হলো।
নিজের খুব সুন্দর শহুরে বাড়িতে সুখে দিন কাটাতে লাগলো।
অনিন্দ্য ও অনুর গানের গলা খুব সুন্দর দুজনে ভালো গান গায়তো।
একদিন গানের সো করার জন্য ডাক আসলো অনিন্দ্যের, সে চাই অনু তার সাথে গানের সো করবে।অনুর অমত থাকলেও স্বামীর অনুরোধে রাজি হয়ে গেলো,প্রাণ প্রিয় কেউ সাথে থাকলে কাজ ভালো হয় তা কারো অজানা নয়।
তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি,
অনেক সুনাম অর্জন করতে লাগলো কিন্তু বাঁধ সাধলো এক জায়গায়,
অনিন্দ্যের চেয়ে তার স্ত্রীর সুনাম ছড়িয়ে পরলো বেশি, ঘরে শ্বাশুরী বউয়ের সুনামে পঞ্চ মুখ, বাইরে গানের মানুষ সব মিলিয়ে অনিন্দ্য হিংসার আগুনে জ্বলে উঠে। তার কাছে সব অসহ্য মনে হলো।
বউকে যা নয় তাই বলা শুরু করলো এক পর্যায়ে নেশা করতে লাগলো। কোলের বাচ্চা টার প্রতি তার নজর ছিলো না।
একদিন রাতে অনু বাচ্চা নিয়ে চুপিসারে ঘরে থেকে বেরিয়ে যায়।
তারপর…..
চলবে……